শিশু পিকন রাঙ্গুনিয়ার মজুমদারখীল শান্তি নিকতনের বাসিন্দা সুমী দের ছেলে। সুমী দে কালুরঘাট শিল্প এলাকার একটি সোয়েটার কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। চান্দগাঁও থানার এসআই ইমাম হোসেন বলেন, সুমী দে বিএফআইডিসি স্টাফ কোয়ার্টারে ২ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলায় ভাই সুজন দে’র সঙ্গে শিশুটিকে নিয়ে সাবলেট থাকতেন। সেখানে ছেলে পিকনকে রেখে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তবে ছেলেটি তার মায়ের জন্য সব সময় কান্নাকাটি করতো। এ নিয়ে শিশুটিকে প্রায় সময় মারধর করতেন মামা সুজন দাশ।
এসআই ইমাম জানান, কান্নাকাটির একপর্যায়ে শিশুটি গতকাল শনিবারও বাসা থেকে বের হয়ে হারিয়ে যায়। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে শিশুটিকে তার মায়ের কারখানার সামনে রাস্তায় পাওয়া যায়। সেখান থেকে ধরে এনে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটুনি দেন মামা সুজন দাশ। পিটুনি খেয়ে শিশুটি খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয়।
রবিবার দুপুরে শিশুটিকে তার মা গোসল করাতে নিলে দ্বিতীয় দফা সেখানেও মারধর করে সুজন। একপর্যায়ে দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শিশুটি। পরে তাকে উদ্ধার করে তার মা হাসপাতালে নিতে চাইলে এই সুযোগে পালিয়ে যেতে উদ্যত হন সুজন। খবর পেয়ে তাকে সেখান থেকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
Leave a Reply